পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু, দোষ বাংলাদেশি মশার?
৫ আগস্ট ২০১৯গত বৃহস্পতিবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের মতো বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গেও দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু৷ কিন্তু বাড়ন্ত রোগের প্রকোপের দায় তিনি চাপিয়ে দিলেন বাংলাদেশের মশার ওপর৷
তিনি বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় মশা ওপার থেকে এপারে আসে, আবার এপার থেকে ওপারে যায়৷ দুই পারেই বহু মানুষ যাতায়াত করে৷ এ রাজ্যে ডেঙ্গু ছড়ানোর পেছনে বাংলাদেশের মশার ভূমিকা থাকতে পারে৷''
সহযোগিতার পথে ফাটল?
ডেঙ্গুর জীবাণু বয়ে আনে এডিস মশা, যা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় জমা জলপ্রবণ এলাকাগুলিতে৷ দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বর্ষাকালে, এই রোগের প্রবণতা বাড়ে মূলত স্থানীয় জল নিষ্কাশনের ব্যর্থতার কারণেই৷ শুধু তাই নয়, দুই বাংলার আবহাওয়ার ধরন ও ভৌগোলিক গঠন নদী ও জলাভূমিকেন্দ্রিক হওয়ায় এই রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা থাকে বেশি৷ অন্যদিকে, এডিস মশার স্থানান্তরের কোনো উপাত্ত এখনও খুঁজে পাননি গবেষকরা৷
ফলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার দায় বর্তায় নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য ও পৌর দপ্তরগুলির ওপরেই৷
উল্লেখ্য, প্রায় প্রতি বছরই পশ্চিমবঙ্গে কমবেশি দেখা দেয় ডেঙ্গু জ্বর৷ চলতি বছরে বাংলাদেশে এই রোগের বিস্তার তুলনামূলকভাবে বেশি৷ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন সীমান্ত-সংলগ্ন হাবড়া জেলার বাসিন্দারা৷ সেখানে স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তারদের গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে, যার ফলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে রোগী-চিকিংসাকর্মী সংঘর্ষের খবরও৷
কিন্তু এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বরং কোনো রকমের তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই মশার সীমান্ত পেরোনোর সম্ভাবনার কথা বলেছেন৷
তাঁর এমন বক্তব্যকে দায় এড়ানোর কৌশল হিসাবে দেখা যেতেই পারে৷