1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রসঙ্গ: ফেসবুক বন্ধ করা

৪ এপ্রিল ২০১৭

শুধুমাত্র শিশুদের কল্যাণে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ রাখা সম্ভব নয়, সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে বিটিআরসি৷ সরকার অবশ্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছেও এ ব্যাপারে মতামত চেয়েছে৷ তবে তারা এখনো কিছু জানায়নি৷

https://p.dw.com/p/2afBP
প্রতীকী ছবি
ছবি: Reuters/R. Duvignau

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে সর্বশেষ ২৩শে মার্চ মতামত জানতে চাওয়া হয় যে, মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ছ'ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ রাখা যায় কিনা৷ শিশু, বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই এ মতামত চাওয়া হয় বলে ডয়চে ভেলেকে জানান বিটিআরসি-র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা রাত জেগে ফেসবুক ব্যবহার করলে পড়াশুনা এবং স্বাস্থ্য – দু'টোরই ক্ষতি হয়৷''

২০১৬ সালে ঢাকায় জেলার ডেপুটি কমিশনারদের সম্মেলনে এই বিষয়টি প্রথম আলোচিত হয়৷ সেখানে বলা হয়, ফেসবুক ও কার্টুনে আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা৷ এতে তাদের পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ নষ্ট হচ্ছে৷ খারাপ হচ্ছে শরীরও৷

ড. শাহজাহান মাহমুদ

বিটিআরসি-র চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমরা গতকাল (সোমবার) চিঠির জবাব দিয়েছি৷ বলেছি শুধুমাত্র শিশুদের জন্য আংশিকভাবে ফেসবুক বন্ধ করা সম্ভব নয়৷ কারণ ফেসবুক শুধু শিশুরা ব্যবহার করে না৷ তাদের বাবা-মাও ব্যবহার করেন৷ এরসঙ্গে ই-কমার্সসহ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যোগাযোগের সঙ্গেও জড়িত ফেসবুক৷ এটা ব্যবহারের ‘স্টেকহোল্ডার' অনেক৷ এতে এরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ তাই আমরা জানিয়ে দিয়েছি আংশিকভাবে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ রাখা সম্ভব নয়৷ কারণ এ সময়টা বাইরের অনেক দেশে ‘ওয়ার্কিং আওয়ার'৷ এতে নেকিবাচক প্রভাব পড়বে৷''

তিনি আরো বলেন , ‘‘তবে আমরা শিশুদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে কিছু সুপারিশ করেছি৷ তার মধ্যে রয়েছেইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ এবং পাসওয়ার্ড বাবা-মা অথবা অভিভাকদের হাতে রাখা৷ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে পর্যন্ত ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট খুলতে না দেওয়া৷ শিশুদের তদারকির মধ্যে রাখতে হবে৷ আর এর জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের৷''

চেয়ারম্যান জানান, ‘‘কার্টুন চ্যানেল বন্ধের বিষয়টিও চিঠিতে আছে৷ তবে সে ব্যাপরে আমরা মতামত দেবো না৷ তথ্য মন্ত্রণালয় মতামত দেবে৷''

তথ্য মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, তারা এখনো মতামত দেয়নি৷ এমনকি কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করতেও রাজি হননি৷

এদিকে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী তারানা হালিম মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিং-এ জানিয়েছেন, ‘‘ফেসবুক বন্ধ রাখা সম্ভব না৷ কারণ ফেসবুক শুধু শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে না, এটা বয়স্করাও ব্যবহার করেন৷ এছাড়া ই-কমার্স ফেসবুকের মাধ্যমেই হয়৷ তার ওপর আমাদের দেশে যখন রাত, অন্য দেশে তখন দিন৷ কাজেই এটা সমীচীন হবে না৷ আমরা অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি৷ তাঁদের ফেসবুকসহ ইন্টারনেটের ইতিবাচক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘ফেসবুক বন্ধ সম্পর্কে যে সব রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক৷ ইস্যুটি খুবই স্পর্শকাতর, তাই তথ্য যাচাই করার জন্য সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করছি৷''

সোমবারই টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক লিখিত বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ফেসবুক বন্ধের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি৷'

২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সর্ব প্রথম একদিনের জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়৷ এরপর ২০১৫ সালের ১৮ই নভেম্বর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে ফেসবুকসহ কয়েকটি অ্যাপভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি৷ টানা ২২ দিন বন্ধ থাকার পর ঐ বছরের ১০ই ডিসেম্বর খুলে দেওয়া হয় ফেসবুক৷

সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারী ২ কোটি ৩৩ লাখ৷ এদের মধ্যে ১কোটি ৭০ লাখ পুরুষ আর ৬৩ লাখ নারী৷ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের শতকরা ৯৩ ভাগের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান